ব্যাবসা পরিকল্পনা
- mmkhokan
- Jan 23
- 6 min read

যেকোনো ব্যাবসার শুরুতেই আপনাকে করতে হবে পরিকল্পনা। এই প্রবন্ধের প্রশ্নগুলো আপনাকে পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। আপনি কিছু প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে চিন্তা করবেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর যখন আপনি তৈরি করতে পারবেন, আপনার বিজনেস প্ল্যান তৈরি।
সূচনা (Introduction)
১/ কোম্পানির সাধারণ বর্ণনা
আপনি কোন ধরণের ব্যাবসা করবেন? আপনি কি করতে চান?
২/ রূপকল্প / ভিশন (Vision) / মিশন (Mission) এবং লক্ষ্য / উদ্দেশ্য
অনেক কোম্পানি সাধারণত ত্রিশ শব্দ বা তার চেয়েও কম শব্দে নিজেদের ব্যাবসার রূপকল্প / ভিশন / মিশন হিসেবে তারা কি করতে চান এবং তাদের ব্যবসায়ের মূলনীতি কি তা ব্যাখ্যা করে থাকেন।
যেমন গুগলের মিশন হচ্ছে তারা পৃথিবীর সব তথ্যকে গুছিয়ে রাখতে চায় যেন তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় এবং উপকারীও হয়।

ব্যবসায়ের লক্ষ্য হল এমন একটি চূড়ান্ত অবস্থান যেখানে আপনি আপনার কোম্পানিকে দেখতে চান। আর উদ্দেশ্য হল সেই চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর সিঁড়ি। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, কোন কোম্পানির লক্ষ্য যদি হয় তারা কাস্টমার সার্ভিসের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকবে, তাহলে তাদের উদ্দেশ্য হবে ভোক্তাদের সন্তুষ্টির জন্য কিছু সার্ভিস ঠিক করা।
মিশন, ভিশন, উদ্দেশ্য-লক্ষ্য নিয়ে আরো জানতে পড়তে পারেন উদ্যোক্তা হতে আসলে কী লাগে?
৩/ ব্যাবসা দূরদর্শিতা
আপনার ব্যাবসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি?
আপনার ব্যাবসার পণ্যের গ্রাহক কারা?
আপনার ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বিস্তারিত বলুন। এটি কি একটি ক্রমবর্ধমান? আপনি আপনার সদ্য শুরু করা এই ব্যাবসার স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদী কি পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন? আপনার কোম্পানি কীভাবে নিশ্চিতভাবে এই ব্যাবসা থেকে উপকৃত হতে পারে?
আপনার কোম্পানির কোর স্ট্রেন্থ Core Strength অর্থাৎ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী অংশ এবং মৌলিক সক্ষমতা নির্ণয় করুন। কোন বিষয়টি আপনার প্রতিষ্ঠানকে সফলতায় নিয়ে যাবে? প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কি আপনার কোম্পানির সবচেয়ে শক্তিশালী অংশটি নিয়ে চিন্তা করেছেন? অতীতের কোন অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সক্ষমতা আপনাকে নতুন যাত্রায় উদ্ধুদ্ধ করেছে?
৪/ মালিকানার ধরণ
কোম্পানিটি স্বত্বাধিকারী, অংশীদারিত্ব, কর্পোরেশন, সীমিত দায় কোম্পানি – প্রাইভেট লিমিটেড – এগুলোর মধ্যে আপনি কোন ধরণটি নির্বাচন করেছেন? কেন?

৫/ ব্যাবসা পণ্য এবং সেবা
আপনার ব্যবসায়িক পণ্য এবং সেবাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
পণ্যে এবং সেবার কোন বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে আপনার ব্যাবসার সফলতা বা ব্যর্থতা বয়ে নিয়ে আসবে? উদাহরণ হিসেবে আপনি পণ্যের গুনগত মান বা স্বতন্ত্রতা নিয়ে ভাবতে পারেন।
আপনার পণ্য এবং সেবার মূল্য কেমন?
বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা (Marketing Planning)
বাজারজাতকরণ বা পণ্য বিপনণ (Marketing) পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে বাজার (Market) নিয়ে দুটো গবেষণা মাথায় রাখতে হবে।
কেন বাজার নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন?
কীভাবে বাজার নিয়ে গবেষণা করবেন?
কেন বাজার নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন?
পণ্য বা সেবা যেমন ই হোক না কেন, বাজারজাতকরণ ফলপ্রসু না হলে আপনার ব্যাবসা যাত্রা কখনই সফল হবে না। সেজন্য প্রথম থেকেই চাই ধারাবাহিক গবেষণা। এটা খুবই বিপজ্জনক যে কোনরকম গবেষণা ছাড়াই শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিকভাবে আপনি আপনার উদ্দীষ্ট বাজার সম্পর্কে একটা পরিকল্পনা করবেন। আপনার ব্যবসায়ের গতি ঠিক রাখতে অবশ্যই আপনাকে বর্তমান বাজার সম্পর্কে জানতে হবে।

তাহলে কীভাবে বাজার নিয়ে গবেষণা করবেন?
‘প্রাথমিক গবেষণা’ হল নিজের গবেষণালব্ধ তথ্য সংগ্রহ করা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি জায়গা ঠিক করেছেন আপনার দোকানের জন্য। এবার সেখানে আপনার প্রতিযোগীদের দোকান চিহ্নিত করুন এবং সেসব দোকানের বাইরে আপনার টার্গেট কাস্টমারদের পছন্দ সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন জরিপ চালান বা সাক্ষাৎকার গ্রহণ করুন। পেশাদার বাজার গবেষণা অনেক ব্যয়বহুল। ভিন্ন মাধ্যম যেমন, ইন্ডাস্ট্রি প্রোফাইল, বাণিজ্য সংবাদ, পত্রিকা, ম্যাগাজিন, গবেষণাপত্র ইত্যাদি থেকে প্রকাশিত তথ্য উপাত্ত গবেষণা করে মার্কেট সম্পর্কে ধারণা নেয়ার পদ্ধতিকে ‘সেকেন্ডারি গবেষণা’ বলে। বাণিজ্যিক প্রকাশনাগুলোতেও বাজার সম্পর্কে অনেক চমৎকার তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারজাতকরণ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরো জানতে হবে অর্থনীতি, পণ্য, ক্রেতা, প্রতিযোগিতা, কর্মসংস্থান, কৌশল।
৬/ বাজার অর্থনীতি
আপনার বাজার এর পরিধি, মার্কেট সাইজ কেমন?
মার্কেট শেয়ার মানে, বাজার এর কত শতাংশ শেয়ার আপনি চাচ্ছেন?
বাজারে চাহিদা কিসের ?
মার্কেট ট্রেন্ড কি? ক্রেতাদের পছন্দ কি? কোন ধরণের প্রডাক্ট বেশি চলছে?
মার্কেট সাইজ বাড়ার সম্ভাবনা কতটা এবং আপনার ব্যবসায়ের জন্য সেই মার্কেটে গ্রোথের সুযোগ কেমন ।
৭/ মার্কেট ব্যারিয়ার
আপনার নতুন কোম্পানি নিয়ে বাজারে এ উঠতে কি ধরণের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন? নিচে কিছু সাধারণ বাধার লিস্ট দেয়া হলো যেন বাধাসমূহ নির্নয় করতে সুবিধা হয়ঃ
উচ্চ মূলধন বিনিয়োগ
উচ্চমাত্রার উৎপাদন খরচ
উচ্চ বিপণন/মার্কেটিং খরচ
ভোক্তাদের মূল্যায়ন এবং ব্র্যান্ডিং স্বীকৃতি
প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা
স্বতন্ত্র প্রযুক্তি এবং সরকারি লাইসেন্স
পরিবহন খরচ
রাজস্ব/ট্যাক্স এবং কোটা সমস্যা
এবং কীভাবে আপনি এই বাধাসমূহ অতিক্রম করছেন?

৮/ ভবিষ্যত ঝুঁকি
নিচের বিষয়গুলো কীভাবে আপনার কোম্পানিকে প্রভাবিত করতে পারে?
প্রযুক্তির পরিবর্তন
সরকারি আইন পরিবর্তন
অর্থনৈতিক পরিবর্তন
ইন্ডাস্ট্রি পরিবর্তন
৯/ পণ্যের কাঠামো এবং উপকারিতা
পণ্যের কাঠামো তৈরি বা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে দুটো জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
আপনার পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা টি কি? আপনার পণ্যের বিশেষত্ব কি?
আপনার পণ্যের উপকারিতা – গ্রাহকদের তা ঠিক কি কাজে আসবে?
পণ্যের উপাদান আর উপকার কিন্তু দুটি আলাদা জিনিস।
যেমন আপনি খুব ভালো মানের রড আর সিমেন্ট দিয়ে সুন্দর ডিজাইনের একটা বাড়ি বানালেন। এটা হচ্ছে বাড়ির উপাদান। কিন্তু বাড়ির উপকার হচ্ছে আশ্রয়, নিরাপত্তা, সম্মান – যা আসলে বিক্রি করা হয়।
আপনি পণ্য বিক্রি করার পর কি সুবিধা দিচ্ছেন? উদাহরণস্বরূপ, পণ্য ডেলিভারি সুবিধা, ওয়ারেন্টি কার্ড, সেবা চুক্তি, সহযোগিতা, পণ্য ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করার সুবিধা, ক্যাশব্যাক সুবিধা ইত্যাদি। এগুলো গ্রাহকের মনে পণ্য সম্পর্কে বিশ্বস্ততা তৈরি করে ।
১০/ কাস্টমার এনালাইসিস (Customer Analysis)
প্রথমেই আপনার পণ্যের সম্ভাব্য (Target) গ্রাহকদের (Customer) খুঁজে বের করুন। তাদের স্বভাব, বৈশিষ্ট্য বা ধরণ কেমন? তাদের অবস্থান কোথায়? সর্বোপরি তাদের নিয়ে একটা ডেটাবেস তৈরি করুন।
গ্রাহকদের নিয়ে গবেষণার ধরণ কেমন হবে সেটা সম্পূর্নভাবে নির্ভর করে তারা কোন ধরণের গ্রাহক। তারা কি সরাসরি ভোক্তা নাকি ব্যবসায়িক ক্রেতা? সরাসরি ভোক্তা হলে মধ্যবর্তী সমন্বয়কারী ব্যবসায়ী কারা? আপনাকে অবশ্যই এই সর্বনিম্ন ভোক্তাগণ বা মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীগন বা ব্যবসায়ী ক্রেতাদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে গবেষণা করতে হবে।
আপনি বিভিন্ন ধরণের গ্রাহকদের নিয়ে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ করতে পারেন। তারপর প্রত্যেকটা আলাদা গ্রুপ নিয়ে একটি ডেমোগ্রাফিক প্রফাইল তৈরি করুন যেখানে থাকবে তাদের বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান, উপার্জনের মান, সামাজিক শ্রেণী, পেশা, শিক্ষা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য।

ব্যবসায়ী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে থাকতে পারে তাদের ইন্ডাসট্রি, ইন্ডাসট্রির পরিধি, অবস্থান, পণ্যের গুনগত মান, ব্যবহৃত প্রযুক্তি, পণ্যের পছন্দনীয় দাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য।
১১/ প্রতিদ্বন্দ্বী তালিকা
বাজারে আপনার পণ্য এবং কোম্পানির প্রতিযোগী খুঁজে বের করুন। নাম এবং ঠিকানা সহ আপনার বড় ধরণের প্রতিযোগীদের চিহ্নিত করুন।
তারা কি সার্বিকভাবে আপনার কোম্পানির প্রতিযোগী নাকি কোনো নির্দিষ্ট পণ্য বা গ্রাহক বা স্থানের প্রতিযোগী?
আপনার কি কোন পরোক্ষ প্রতিযোগী আছে? যেমন কোন কাপড় ব্যবসায়ী জুতার ব্যবসায়ীর সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে, যদিও দুইটা আলাদা ব্যাবসা।
আপনার পণ্য এবং সেবা কীভাবে প্রতিযোগিতায় লড়াই করে?
আপনার সবচেয়ে বড় দুজন প্রতিযোগীর সাথে তুলনা করে নিজের ব্যাবসা পর্যালোচনা করতে নিচের তুলনামূলক পর্যালোচনা ছকটি ব্যবহার করুন। ছকের প্রথম কলামে থাকবে সেসব উপাদান যেগুলো দিয়ে আপনি প্রতিযোগিতার মানদন্ড যাচাই করবেন। এই উপাদানগুলো আপনি আপনার মতো করে পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
দ্বিতীয় কলামে আপনাকে রেখে উপাদানগুলোর আলোকে তুলনামূলকভাবে চিন্তা করুন গ্রাহকদের মনে আপনার অবস্থান কি? তৃতীয় এবং চতুর্থ কলামে নিষ্ঠা এবং সততার সহিত আপনার সক্ষমতা এবং দুর্বলতাগুলো লিখুন। যদিও নিজের দুর্বলতা বের করা সবচেয়ে কঠিন, সেজন্য আপনি এমন একজনকে এই দায়িত্ব দিতে পারেন যিনি আপনার ত্রুটির ক্ষেত্রে চোখ খুলে দেবেন। কেউই দুর্বলতার উর্ধ্বে নয়। অপরিকল্পিত প্রচেষ্টার কারণে অনেক কোম্পানিই ব্যবসায় ব্যর্থ হয়।
পরিশেষে শেষ কলামে প্রত্যেকটি উপাদানের ১ টি গুরুত্বপূর্ন এবং ৫ টি অগুরুত্বপূর্ণ জিনিস বের করুন।
টেবিলঃ১ তুলনামূলক পর্যালোচনা

এবার প্রতিযোগিতা নিয়ে অল্প কথায় একটা ছোট অনুচ্ছেদ লিখে ফেলুন।
১২/ উপযুক্ত নীশ (Niche) / অবস্থান নির্বাচন
এখন আপনি আপনার ইন্ডাস্ট্রি, পণ্য, গ্রাহক, এবং প্রতিযোগীদের নিয়ে ধাপে ধাপে পর্যালোচনা করুন। আপনার কোম্পানিকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আপনাকে অবশ্যই কোম্পানির মার্কেট নীশ সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। অল্প কথায়, মার্কেটে আপনার কোম্পানির একটা নিরাপদ এবং স্বতন্ত্র অবস্থান চিহ্নিত করুন।
মার্কেটিং কৌশল
তারপর আপনার ব্যবসায়ের নিরাপদ অবস্থান তৈরি করতে কিছু মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করুন। এখানে কিছু কৌশল সম্পর্কে প্রশ্নগুলো নিয়ে চিন্তা করুন।
১৩/ প্রমোশনাল প্ল্যানিং (Promotional Planning)
আপনার ব্যবসাটা মার্কেটে পরিচিতি লাভ করবে কীভাবে?
কেন আপনার পণ্যটি অন্যদের মত নয়?
বিজ্ঞাপন নিয়ে তিনটি প্রশ্ন লিখুন। কীভাবে আপনি বিজ্ঞাপন করবেন, কেন বিজ্ঞাপন করবেন এবং বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দেবে কারা?
আপনি কি কম খরচ প্রক্রিয়ায় বেশি প্রচারমূলক বাজেট নির্দিষ্ট করতে পেরেছেন?
আপনি কি অর্থপ্রদানের বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি ব্যবহার করবেন, যেমন ট্রেড শো, ক্যাটালগ, ডিলার ইনসেনটিভ, মুখের কথা (Word of Mouth) – আপনি কীভাবে এটিকে উদ্দীপিত করবেন?, এবং বন্ধু বা পেশাদারদের নেটওয়ার্ক কীভাবে ব্যবহার করবেন?

আপনি কী ব্র্যান্ড ইমেজ প্রজেক্ট করতে চান? আপনি গ্রাহকদের চোখে আপনি নিজেকে কীভাবে দেখতে চান?
বিজ্ঞাপন ছাড়াও, গ্রাফিক্স ছবি সহযোগিতার ক্ষেত্রে আপনি কি পরিকল্পনা করেছেন?
আপনার রিপিট গ্রাহকদেরকে বাছাই করার জন্য এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগ রাখার কি কোনো পদ্ধতি চালু করেছেন?
১৪/ প্রমোশনাল বাজেট (Promotional Budget)
উপরের লিস্টের পণ্যের জন্য আপনার বিনিয়োগ কত বরাদ্দ করেছেন? হতে পারে তা ব্যাবসা শুরু করার পূর্বে, হতে পারে তা ব্যাবসা চলাকালীন সময়।
১৫/ দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ
আপনার পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করছেন? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায়শই স্বল্প লাভ রেখে পণ্য বিক্রয় করে যা ভালো বুদ্ধি না। দ্রব্য মূল্য আপনার লাভকে প্রভাবিত করে। গ্রাহকরা পণ্যের দাম সবসময় বিবেচনায় আনে না। প্রাইসিং ঠিক না হলে আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী আপনাকে পেছনে ফেলে দেবে। পণ্যের মান এবং সেবা নিশ্চিত করে আপনি মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রর মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
আপনার দ্রব্য মূল্য নির্ধারণ নীতি কি আপনার প্রতিযোগিদের পর্যালোচনামূলক ফলাফলের সাথে যায়?
আপনার দ্রব্যমূল্যের সাথে আপনার প্রতিযোগীদের দ্রব্য মূল্যের তুলনামূলক পর্যালোচনা করুন। তাদের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে আপনার দ্রব্য মূল্য কম, বেশি, নাকি সমান?
তুলনামূলক উপাদান গুলোর মধ্যে দ্রব্য মূল্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকেরা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সবসময় কি মূল্যকেই বেশি প্রাধাণ্য দেয়?
আপনার গ্রাহক সেবা এবং ক্রেডিট নীতি কী ?
পণ্যের দাম নির্ধারণ করার ব্যাপারে পড়তে পারেন এই লেখাটা – প্রোডাক্ট প্রাইসিং এর কৌশল
১৬/ প্রস্তাবিত স্থান
সম্ভবত, এখনো আপনার পণ্য বাজারজাতকরণেরকোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। উপযুক্ত স্থান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার এটাই উপযুক্ত সময়। অনেকেই ব্যবসায়ের শুরুতে বাসা থেকেই সফলভাবে বাজারজাতকরণ করে থাকেন।
আপনার শারীরিক উপস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে পরবর্তী “কার্যক্রম পরিচালনা” সেকশনে বিস্তারিত লিখবেন । আপাতত এখানে বাজারজাতকরণ স্থান নিয়ে বিবেচ্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করুন যা আপনার গ্রাহকদেরকে প্রভাবিত করে।
যদি আপনার পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান কি আপনার গ্রাহকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ? যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বর্ণনা করুন কীভাবে তা প্রভাবিত করে?
যদি আপনার গ্রাহকরা আপনার ব্যাবসা কেন্দ্রে আসে তাহলে কিছু জিনিস খেয়াল করুন।
জায়গা টা কি সুবিধাজনক? পার্কিং লাগে? লাগলে পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে? ভেতরের জায়গা কি প্রশস্ত? বের হওয়ার রাস্তা আছে তো?
– স্থানটা কি আপনার কোম্পানি প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ?
– সেটা কি আপনার গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত জায়গা?
-সেটা কি আপনার প্রতিযোগীদের কাছে নাকি দূরে?
– প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হয় কি?
Comments